কলেজে ভর্তিতে মাইগ্রেশন নিয়ে আলোচনা। কিভাবে মাইগ্রেশন সিস্টেম কাজ করে - জেনে নিন।

এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার পর সব শিক্ষার্থীরাই কলেজ নির্ধারন শুরু করে দেয়। এরপর কলেজ চয়েস দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারন করে দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থী দের কে কলেজ চয়েস দেওয়া শেষ করতে হয়। এই কলেজ চয়েস প্রক্রিয়া ৩ ধাপে চলে। এরপরে বোর্ড থেকে একটি কলেজ বেছে দেওয়া হয়। মাইগ্রেশন সিস্টেম এই কলেজ নির্ধারন প্রক্রিয়ার একটি অংশ। এই পোস্ট এ কলেজের নির্ধারনের সময় মাইগ্রেশন সিস্টেম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই পোস্ট টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

কলেজের ভর্তিতে মাইগ্রেশন নিয়ে আলোচনা। কিভাবে মাইগ্রেশন সিস্টেম কাজ করে - জেনে নিন।



মাইগ্রেশন কি?

মাইগ্রেশন মূলত নিচের লেভেল থেকে উপরের দিকে যাওয়ার একটি প্রক্রিয়া। আরো সহজভাবে বলতে গেলে লিস্টের নিচের কলেজ থেকে উপরের কলেজের দিকে স্থানান্তর হওয়ার একটা প্রক্রিয়া। কলেজ চয়েস দেওয়ার পরে সেই চয়েসের রেজাল্ট আসে। এরপর কলেজ নিশ্চায়ন করলে মাইগ্রেশন চালু হয়।


মাইগ্রেশন সিস্টেম কখন চালু হয়?

এসএসসি বা সমমানের পরিক্ষায় পাশের পর একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা বা ফি দিয়ে কলেজ চয়েস দিতে হয়। এখানে একজন শিক্ষার্থী মোট ১০ টা কলেজ এর লিস্ট প্রদান করব। এরপর কলেজ চয়েসের রেজাল্ট আসে এবং বোর্ড থেকে একটি নির্দিষ্ট কলেজ সিলেক্ট করে দেওয়া হয়। এখন কলেজ সিলেক্ট করে দেওয়ার পর এই কলেজ নিশ্চায়ন করতে হয়। কলেজ নিশ্চায়ন করার জন্য ফি অথবা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে। এই টাকা বা ফি জমা দিলে কলেজ নিশ্চায়ন হয়ে যায় এবং অটো মাইগ্রেশন চালু হয়ে যায়। অর্থাৎ নতুন করে কিছু করার প্রয়োজন নাই। কলেজ নিশ্চায়ন ফি প্রদান করলেই মাইগ্রেশন চালু হয়ে যাবে। মাইগ্রেশন কখন চালু হয় সেটা তো জানলাম। এখন কিভাবে মাইগ্রেশন সিস্টেম কাজ করব সেটা জেনে নেওয়া যাক।

কলেজ চয়েস ➡️ বোর্ড কর্তৃক কলেজ রেজাল্ট ➡️ কলেজ নিশ্চায়ন ➡️ মাইগ্রেশন ➡️ মাইগ্রেশন রেজাল্ট ➡️ চূড়ান্ত কলেজ


যেভাবে মাইগ্রেশন সিস্টেম কাজ করে :

প্রথমেই বলেছি একজন শিক্ষার্থী এসএসসি বা সমমানের পরিক্ষায় পাশ করার পর সর্বনিম্ন ৫ টা এবং সর্বোচ্চ ১০ টা কলেজ চয়েস দিতে পারে। মনে কর, সিরিয়াল করে মোট ১০ টা কলেজ চয়েস দেওয়া হল। এর মধ্যে বোর্ড থেকে ৬ নম্বর কলেজ টা সিলেক্ট করে দেওয়া হল। এখন কলেজ চয়েস লিস্ট এ ৬ নম্বর কলেজের উপরে আরও ৫ টি কলেজ আছে।


বোর্ড থেকে চয়েস লিস্টের এই ৬ নম্বর কলেজ সিলেক্ট করে দেওয়ার পর কলেজ নিশ্চায়ন করতে হবে। ফি দিয়ে কলেজ নিশ্চায়ন করলে এই মাইগ্রেশন সিস্টেম বা অটো মাইগ্রেশন চালু হয়ে যাবে। এটাকে অটোমাইগ্রেশন বলা হচ্ছে কারণ, এটা চালু করার জন্য কিছু করতে হয়না। কলেজ নিশ্চায়ন করলে অটোমেটিক চালু হয়ে যায়।

আরও জানুন- উচ্চমাধ্যমিক/ কলেজে কোন কোন লেখকের বই কিনব?


ফি প্রদান করার পর যখন ৬ নম্বর কলেজ নিশ্চায়ন করা হবে তখন মাইগ্রেশন চালু হয়ে যাবে। এরপর চয়েস লিস্ট এ ৬ নম্বর এর উপরে থাকা ৫ টি কলেজ এ যদি সিট ফাকা থাকে বা মাইগ্রেশন ধাপে উপরের কলেজ গুলো স্টুডেন্ট নেয় তাহলে ৬ নম্বর কলেজ থেকে উপরের কলেজ এই মাইগ্রেশন সিস্টেম এর মাধ্যমে সিলেক্ট হয়ে যাবে।


চিন্তার কোন কারণ নাই। মাইগ্রেশন এর জন্য নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া হয়। এরপর মাইগ্রেশন এর রেজাল্ট দেওয়া হয়, যা অনলাইনে বা এসএমএস এর মাধ্যমে জানা যায়। যারা প্রথম ধাপে কলেজ চয়েস দেয়,  তাদের পরবর্তী ২ ধাপে মাইগ্রেশন হয়। আর যারা ২য় ধাপে কলেজ চয়েজ দেয়, তাদের শুধু একবার মাইগ্রেশন হয়। এই তথ্যগুলো ছাড়াও শিক্ষার্থীদের কিছু প্রশ্ন থাকে। এগুলোর উত্তর জেনে নেওয়া যাক।


মাইগ্রেশন সম্পর্কে সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর


মাইগ্রেশন ই যখন করব তাহলে কলেজ নিশ্চায়ন করার কি দরকার?

👉 কলেজ নিশ্চায়ন না করলে মাইগ্রেশন সিস্টেম টাই চালু হবেনা। তাই মাইগ্রেশন সিস্টেমের মাধ্যমে লিস্টের উপরের কলেজে যেতে হলে অবশ্যই বোর্ড থেকে যে কলেজ সিলেক্ট করে দিছে সেটা নিশ্চায়ন করতে হবে।


কলেজ নিশ্চায়ন না করে মাইগ্রেশন চালু করব, এটা সম্ভব?

👉 না, সম্ভব না।


৬ নম্বর কলেজ আসছে, এটাতেই থাকব। উপরের কলেজে মাইগ্রেশনের মাধ্যমে যাবনা। এটা সম্ভব?

👉 না। কলেজ নিশ্চায়ন করলে মাইগ্রেশন অটোমেটিক চালু হবেই। আর যে কলেজে আসবে সেই কলেজে যেতে হবে।


মাইগ্রেশনে উপরের কলেজের ২ নম্বর কলেজে যেতে চাইনা। ২ নম্বর কলেজ বাদ দিবো কিভাবে?

👉 বাদ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এইজন্য কলেজ চয়েস দেওয়ার সময় যে কলেজে যেতে ইচ্ছুক সেই কলেজ লিস্টের উপরে রাখতে হয়। মাগ্রেশন এ ২ নম্বর কলেজ আসলে সেটাতেই যেতে হবে।


মাইগ্রেশন চালু করার জন্য আলাদা ফি দিতে হবে?

👉 না। মাইগ্রেশন চালু করার জন্য আলাদা কোন ফর্ম পূরণ বা ফি দিতে হবেনা। কলেজ নিশ্চায়ন ফি দিলেই হয়ে যাবে।


মাইগ্রেশনে কোন কলেজ আসলো সেটা কিভাবে বুঝবো?

👉 একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এরপর রেজাল্ট দেওয়া হয়। তখন অনলাইনে বা এসএমএস এর মাধ্যমে যেভাবে কলেজ চয়েস এর রেজাল্ট দেখেছ সেভাবে মাইগ্রেশন এর রেজাল্ট দেখতে পাবে।

>> কলেজে কোন বিষয় কোন লেখকের বই সবচেয়ে ভাল -জেনে নিন। কোন লেখকের বই পড়তে হবে?


মূলত এই ছিল কলেজে ভর্তির সময় মাইগ্রেশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। যদি এই তথ্যগুলোর বাইরেও কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। প্রয়োজনে আমাদের ফেসবুক পেজ ↗️ টি লাইক করুন। চাইলে ফেসবুক পেজ ↗️  এও নক দিতে পারেন। যেকোন প্রয়োজনে Royal Desk সাইটে এসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জেনে নিন।

Share This Post

Next Post Next Post
No comments yet
Click Here To Comment

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url