ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ৩য় ও চতুর্থ বিষয় নির্বাচন: উচ্চমাধ্যমিক

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথমত সবাই একটু দুটানায় পড়ে যায় বিষয় নির্বাচন নিয়ে। বিজ্ঞান বিভাগ কিংবা মানবিক বিভাগের শুধু চতুর্থ বিষয় নির্বাচন করতে হয়। কিন্তু ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে নিজের পছন্দ অনুযায়ী দুইটা বিষয় নির্বাচন করা যায়। অর্থাৎ ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী দের তৃতীয় ও চতুর্থ বিষয় নির্বাচন করতে হয়। তাই কোন বিষয় টা নিব? কোনটা নিলে ভাল হবে? কোন বিষয় বেশি সহজ? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর অন্যান্য বিভাগের চেয়ে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের বেশি খুঁজতে হয়। এই পোস্টে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ৩য় এবং চতুর্থ বিষয় কোনটা নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করব।

ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ৩য় ও চতুর্থ বিষয় নির্বাচন: উচ্চমাধ্যমিক



অনেকেই ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ের কোন বই কোন লেখকের সবচেয়ে ভাল বা কোন লেখকের বই পড়লে ভাল হবে -সেটা জানতে চায়। এ জন্য নিচের পোস্ট টি পড়ুন-

>>উচ্চমাধ্যমিক "ব্যবসায় শিক্ষা" শাখার কোন বিষয়ে কোন লেখকের বই পড়ব?


তৃতীয় বিষয় হিসেবে কোনটা নিব?

প্রথমেই বলেছি ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে তৃতীয় বিষয় নির্বাচন করার সুযোগ থাকে। ৩য় বিষয় হিসেবে দুইটার মধ্যে যে কোন একটা নিতে হবে। এগুলো হলো-

১। ফিন্যান্স,ব্যাংকিং ও বীমা,

২। উৎপাদন ব্যবস্থা ও বিপণন।


মূলত তৃতীয় বিষয় হিসেবে এই দুইটার মধ্যে যে কোন একটা বিষয় নিতে হয়। এই দুইটা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানা যাক:


ফাইন্যান্স,ব্যাংকিং ও বিমা

এখানে তত্ত্বীয় ও গাণিতিক দুই ধরনের টপিক ই আছে। অনেকেই বলে থাকে যারা একাউন্টিং বা হিসাববিজ্ঞান নিয়ে ভবিষ্যতে পড়তে চায়, তারা ফাইন্যান্স নিলে কাজে দিবে। আর কেউ যদি মনে করে যে সে গণিত ভাল পারে, তাহলে ফাইন্যান্স নেওয়া যেতে পারে। আর তত্ত্বীয় বিষয়ের তুলনায় গাণিতিক প্রশ্নে বেশি মার্ক পাওয়া যায়, যদি ঠিকমতো করা যায়।


উৎপাদন ব্যবস্থা ও বিপণন

এটি মূলত বর্ণনা মূলক বিষয়। এখানে বেশিরভাগ বর্ণনা আর ব্যাখ্যা। এখন যদি মনে কর গণিতে তেমন একটা ভাল পারনা, তাইলে উৎপাদন ব্যবস্থা ও বিপণন পারফেক্ট বিষয় হতে পারে। আর ফিন্যান্স এর তুলনায় মার্কেটিং এ জটিলতা কম। তাই এখানে পরীক্ষায় মার্ক তোলাও সহজ হয়।


তৃতীয় বিষয় নিয়ে এটাই মূলত আলোচনা। এখন দুইটা বিষয়ের মধ্যে কোনটা নিবে সেটা ডিপেন্ড করবে তোমার উপর। এবার চতুর্থ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক। অনেকেরই প্রশ্ন থাকে ব্যবসায় শিক্ষা বা কমার্স এর মোট বিষয় কয়টি আর কি কি? এটা বিস্তারিত জানতে নিচের পোস্ট টি পড়ুন-

উচ্চমাধ্যমিকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে কি কি বিষয় আছে? কোন বিষয় গুলো অবশ্যই পড়তে হবে? -জেনে নিন।


চতুর্থ বিষয় কোনটা নিলে ভাল হবে?

ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে চতুর্থ বিষয় নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি অপশন থাকে। যে বিষয়গুলো নেয়া যেতে পারে সেগুলো হলো-

১। ফিন্যান্স,ব্যাংকিং ও বীমা,

২। উৎপাদন ব্যবস্থা ও বিপণন,

৩।পরিসংখ্যান,

৪। অর্থনীতি,

৫।সাচিবিক বিদ্যা,

৬।কৃষিশিক্ষা।


অনেকেরই প্রশ্ন থাকতে পারে ফিন্যান্স আর উৎপাদন ব্যবস্থা তো ৩য় বিষয় এ ছিলো। আসলে এই দুইটার মধ্যে যে কোন একটা ৩য় বিষয় হিসেবে নিয়ে আবার অপর একটি চতুর্থ বিষয় হিসেবে নেওয়া যায়। তো যাই হোক, উপরের দেওয়া বিষয়গুলোর মধ্যে থেকে সাধারণত চতুর্থ বিষয় হিসেবে যে কোন একটা নির্বাচন করতে হয়। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।


পরিসংখ্যান

উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে সাধারণত গণিতের সাথে শিক্ষার্থীর সম্পর্ক টা কম থাকে। আবার পরবর্তীতে বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষায় গণিতের প্রয়োজন হয়। তাই যদি চতুর্থ বিষয় হিসেবে পরিসংখ্যান নিলে গণিতের সাথে সম্পর্কটা নষ্ট হয়না। আবার হিসাববিজ্ঞান,ফিন্যান্স (যদি নাও), ব্যবস্থাপনা এই বিষয়গুলোতে অনেক সময় দিতে হয়। সেক্ষেত্রে পরিসংখ্যান নিলে সময় সংকুলান এ একটু সমস্যা হতে পারে। এই বিষয় নিবে কি না সেটা তোমার উপর।


অর্থনীতি

এখানেও গাণিতিক বিষয় আছে। তাই এই বিষয়ের পেছনে কিছু সময় দিতে হতে পারে। তাই এই বিষয়ের ক্ষেত্রেও পরিসংখ্যানের মতো সময় সংকুলানে সমস্যা হতে পারে। তবে চেষ্টার উপর সব কিছু। অর্থনীতির সাথে ফিন্যান্স এর কিছু মিল আছে। তাই অর্থনীতি নিলে ভবিষ্যতের পাশাপাশি বর্তমানে ফিন্যান্স এর কনসেপ্ট এ অনেক ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

আরও জানুন>> কলেজে ভর্তিতে মাইগ্রেশন সিস্টেম কিভাবে কাজ করে? কিভাবে মাইগ্রেশন হয়? - জেনে নাও


সাচিবিক বিদ্যা

অনেকেই অন্যান্য বিষয় বাদ দিয়ে সাচিবিক বিদ্যা চতুর্থ বিষয় হিসেবে নেয়। ভবিষ্যতে ভার্সিটি বা বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষায় যেহেতু এই বিষয়গুলোর দরকার পরেনা তাই সাচিবিক বিদ্যা নিলে সিলেবাস কম্পলিট করা সহজ হয়।


ফিন্যান্স আর মার্কেটিং দুইটাই নিলে

অনেক কলেজে ফিন্যান্স আর মার্কেটিং দুইটার মধ্যেই একটাকে ৩য় আর একটাকে চতুর্থ করার সুযোগ থাকে। এক্ষেত্রে দুইটাই নেওয়া যেতে পারে। তার আগে জেনে নিতে হবে তোমার কলেজে একসাথে এই দুইটা বিষয় নেওয়া যাবে কি না! অনেক কলেজে থাকেনা। এই দুইটা বিষয় ই নিলে ভবিষ্যতে ভার্সিটি তে অবশ্য বিষয় নির্বাচন করা সহজ হয়। কিন্তু অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় ফিন্যান্স এ একটু জটিল তত্ত্ব আর সূত্র আছে, যার ফলে অনেক ক্ষেত্রে অনেকের কাছে মার্কেটিং আর ফিন্যান্স একসাথে নিলে সিলেবাস কম্পলিট করা কঠিন হয়ে যায়।

আরও জানুন- >>উচ্চমাধ্যমিক "ব্যবসায় শিক্ষা" শাখার কোন বিষয়ে কোন লেখকের বই পড়ব?


এই মূলত চতুর্থ বিষয় নিয়ে আলোচনা। কোনটা নির্বাচন করবে সেটা মূলত তোমার উপর। যাই হোক একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, কলেজে সময় টা খুব কম আর সিলেবাস সে তুলনায় অনেক বেশি। তাই যে বিষয় টা নিলে তাড়াতাড়ি সিলেবাস শেষ করতে পারবে এবং ভাল প্রস্তুতি নিতে পারবে সে বিষয় নির্বাচন করতে হবে। চেষ্টাই সফলতার চাবিকাঠি। তাই যে বিষয় ই নাও না কেন চেষ্টা করলে ভাল রেজাল্ট অবশ্যই আসবে। এরপরও যদি কিছু জানার থাকে আমাদের Facebook Page 🔹 এ মেসেজ দিতে পারো।


আশা করি পোস্ট টি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। নিয়মিত আপডেট পেতে Facebook Page 🔹 টি লাইক করুন। পোস্ট সম্পর্কে আপনার মতামত অবশ্যই কমেন্ট এ জানাবেন।

Share This Post

Next Post Next Post
No comments yet
Click Here To Comment

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url